শ্রীপুরের শালদহ্ নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৮, ২০২১ । ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
শ্রীপুরের শালদহ্ নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো
শ্রীপুরের শালদহ্ নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো

বার্তাবিডি প্রতিবেদক, শ্রীপুর: শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি, শিমলা পাড়া, দেওচালা ও চিলমারি এলাকার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী শালদহ্ নদী। এ নদীতে সেতু না থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে নদীর তীরবর্তী চার গ্রামের মানুষ। শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি, শিমলাপাড়া গ্রাম ও কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে তাদের দৈন্দিন কাজ করছেন।

নদীর পূর্ব পাড়ের শিরিশগুড়ি গ্রামের কৃষক নূরুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষের জমি এবং স্কুল কলেজ পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। কৃষি কাজে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাষাবাদ করা, ফসলি জমির সার কীটনাশক পরিবহন, জমির ফসল উত্তোলন,ক্রয়-বিক্রয়ে আমাদে অসুবিধা হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজ মাদরাসায় যাতায়াত, অসুস্থ রোগীকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালে নিতেও খুব অসুবিধা হয়। নদীতে কোন ব্রীজ বা নৌকা না থাকায় শুষ্ক মৌসুমে তাদেরকে আধা ভিজা এবং বর্ষা মৌসুমে তাদের সাঁতরিয়ে বা কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসা যাওয়া করতে হয়। বিশেষ করে শিরিশ গুড়ি গ্রামের শিক্ষার্থীদের নদীর পশ্চিম পাশে স্কুল ও কলেজে আসা যাওয়া করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার নদীর পশ্চিমে অর্ধেক অংশে রয়েছে ফুলবাড়িয়ার গ্রাম। ওই গ্রামের মানুষের অধিকাংশের ফসলি জমি রয়েছে নদীর পূর্ব পাশে।

শ্রীপুরে শালদহ্ নদীর উপর বাঁশের সাঁকো

সমাজ সেবক মহসিন জানান, নদীতে সেতু না থাকায় উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য পেতে, ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে পাঠাতে, ওষুধপত্র এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে ফুলবাড়িয়া বাজারে যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। শিমলা পাড়া ও শিরিশ গুড়ি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটির স্থানে একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য ভুক্তভুগী গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কাছে বহুবার দাবি জানিয়ে আসছেন।

সরেজমিনে দেখতে গেলে শিরিশগুড়ি এলাকার বিল্লাল হোসেন, শিমলা পাড়ার গৃহিনী রাহেলা, স্কুল ছাত্র রাহাত, রাজু,কলেজ ছাত্রী মৌসুমি, ঝর্ণা বলেন, নদীতে সেতু না থাকায় সময়মতো এবং নির্বিঘ্নে তারা হাট বাজার ও স্কুল কলেজে পৌঁছাতে পারেন না। বর্ষার মৌসুমে নদী ভরে যাওয়ায় স্কুলের পাঠ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের।

মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য রোসমত আলী জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় মাওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল আলম প্রধান জানান, শিরিশগুড়ি ও দেওচালা গ্রামে শালদহ্ নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই সেতু নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া যাবে।

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০