সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

একজন ইসলামিক স্কলারের জীবনী

একজন ইসলামিক স্কলারের জীবনী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় :

বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট দার্শনিক, নান্দনিক কথা সাহিত্যিক,কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বিজ্ঞান সম্মত দালিলিক ভাবে গবেষণায় তাফসির পেশের মাধ্যমে জগতে নতুনধারা সৃষ্টিকারী,বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কোরআন “রাহবারে মিল্লাত” আল্লামা হযরত মাওলানা লুৎফর রহমান।

জন্ম:

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার বদরপুর গ্রামে ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাওলানা আব্দুস সামাদ একজন স্বনামধন্য আলেম ও সমাজসেবক
মাতা: বেগম মাকসুদা খাতুন।

শিক্ষাজীবন:

তাঁর পিতা মাওলানা আব্দুস সামাদ অত্যন্ত বুজুর্গ আলেম। পিতার হাতেই তিনি ইসলামী শিক্ষার সুচনা করেন। এছাড়া তিনি কালাইয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে
১৯৬১ সালে কালাইয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে দাখিল।
১৯৬৩ সালে রায়পুর আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম।
১৯৬৫ সালে ফাজিল। এবং
১৯৬৭ সালের কৃতিত্বের সাথে কামিল পাশ করেন।
ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি তিনি নবাব ফয়জুন্নেসা কলেজ থেকে ডিগ্রী এবং
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্র জীবনের সকল পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস এবং স্কলারশিপ প্রাপ্ত একজন মেধাবী মুখ হিসেবে তিনি পরিচিত।

কর্মজীবন:

তিনি রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মজীবনে অত্যন্ত সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে সর্বদা নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজ যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। তিনি অসংখ্য মসজিদ,মাদ্রাসা,এতিমখানা ইসলামী পাঠাগার দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠা করেন।

এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কান্ট্রি চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেন। একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসেবে দেশে-বিদেশে সমাজে বহুল পরিচিত মাওলানা লুৎফর রহমান।
ইসলামের দাওয়াত বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন কোরিয়া, জাপান, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অসংখ্য দেশ ভ্রমণ করেন।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন আলহাজ্ব মাওলানা লুৎফর রহমান একজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব।

তিনি বাংলা,ইংরেজি,আরবি,ফারসি, উর্দ, হিন্দি এবং সংস্কৃতি ভাষা সহ বহু ভাষায় পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। তাঁর ওয়াজ শুনে অনেক অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কোরআন প্রচারের পাশাপাশি তিনি অনেক দুর্লভ গ্রন্থ রচনা করে দেশবিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
নব্য জাহিলিয়াতে আচ্ছাদিত অন্ধকারের এই যুগ সন্ধিক্ষণে মুহতারাম মাওলানা লুৎফর রহমানের মতো দ্বীনে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে মহান আল্লাহ কবুল করুন
“মিল্লাতের রাহবার” হিসেবে।