যে আশা নিয়ে নূর হোসেন আত্মদান করেছে, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি — জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১০, ২০২০ । ১:৫৫ অপরাহ্ণ
যে আশা নিয়ে নূর হোসেন আত্মদান করেছে, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি — জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের

ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর- ২০২০ : জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জন বন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি শহীদ নূর হোসেন-এর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, যে আশা নিয়ে নূর হোসেন আত্মদান করেছে, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, নূর হোসেন হয়তো চেয়েছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর শাসনামলের গণতন্ত্রের চেয়ে আরো ভালো গণতন্ত্র পাবে দেশ এই আশায় বুকে ও পিঠে লিখেছিলো- “স্বৈরতন্ত্র নিপাক যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক”। এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রশ্ন রেখে বলেন, গণতন্ত্র কি মুক্তি পেয়েছে?
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী কার্যালয়ে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতা করছিলেন।

এসময় জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, তিন জোটের রুপরেখা অনুযায়ী পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা হস্থান্তর করেন। কিন্তু ’৯১ সালের নির্বাচনের পর তিন জোটের রুপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করে সংসদীয় পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ ধারা সংসদীয় পদ্ধতির মূল স্বাদ নষ্ট করেছে। বলেন, ৭০ ধারা অনুযায়ী সরকার দলীয় সদস্যরা সরকারী দলের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যে দল সরকার গঠন করে, সেই দলের প্রধানই সংসদীয় দলের নেতা এবং সরকার প্রধান হন। সরকার প্রধান যে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই বাস্তবায়ন হয়। এতে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। ফলে, স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক না হয়ে স্বৈরতন্ত্র মুক্তি পাক ও গণতন্ত্র নিপাত যাক হয়ে দাঁড়িয়েছে কিনা এমন প্রশ্নও রাখেন জাতীয পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে সংবিধান থেকে ৭০ ধারা তুলে দিতে হবে। সংসদীয় পদ্ধতিতে সংসদের কাছে সরকার ও সরকার প্রধানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে সংসদ। কিন্তু ৭০ ধারার কারনে উল্টো হয়েছে, সরকারই সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে জনগনের তন্ত্র। এতে জনগণের শাসন নিশ্চিত হয়। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুল করেনা। বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুল মানুষকে নির্বাচিত করেনি। প্রকৃত গণতন্ত্র নিশ্চিত হলে রাষ্ট্রের সকল স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে দেশে সুশাসন নিশ্চিত হবে যাতে সামাজিক ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকবো। প্রতিবছর গণতন্ত্র দিবসে এই হবে আমাদের অঙ্গীকার।
গণতন্ত্র দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, গণতন্ত্র আজ সোনার হরিন, গণতন্ত্র আজ খাঁচায় বন্দি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিই পারবে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে। বলেন, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেনা। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নির্বাচন কমিশন কী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে? তিনি উল্লেখ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ১০ ভাগ। যেখানে ৯০ ভাগ ভোটারই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেনি। আবার আরেকটি আসনে ভোট পড়েছে মাত্র ২ ভাগ। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ভোটাধিকারে বিশ^াস করে। আগামী নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার সরকার গঠন করবে।

বক্তব্য রাখেন- জাতীয় কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম, আজম খান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোঃ হারুন আর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. আব্দুস সালাম, আহসান আদেলুর রহমান এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, ইয়াহ্ ইয়া চৌধুরী, মৌলভী মোঃ ইলিয়াস, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আব্দুল হামিদ ভাসানী, ফখরুল আহসান শাহজাদা, মোঃ আমির হোসেন ভূঁইয়া, ইকবাল হোসেন তাপস, মোঃ বেলাল হোসেন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, এনাম জয়নাল আবেদীন, মোঃ হুমায়ুন খান, মোঃ আনিস উর রহমান খোকন, মাখন সরকার,

সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এম.এ. রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান আকাশ, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক নুরু, মোঃ আব্দুস সাত্তার গালিব, মোঃ আক্তার হোসেন দেওয়ান, এম.এ. সোবহান, মোঃ আজহারুল ইসলাম সরকার, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. আবু তৈয়ব, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, মোঃ দ্বীন ইসলাম শেখ, হাফেজ ক্বারী ইসাহুরুল্লাহ আসিফ, শাহনাজ পারভীন, ডা. মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফাত্তাহ, এস.এম. রহমান পারভেজ, ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় সদস্য নাজমুল খান, মোমেনা বেগম, আব্দুস সাত্তার, আরজু আক্তার, সোলায়মান সামি, মোঃ ফারুক শেঠ, তাসলিমা আকবর রুনা, ওহিদুর রহমান, শেখ সরোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন কামাল, সাইফুল ইসলাম শোভন, সীমানা রহমান, মাহবুবুর রহমান খশরু, মোঃ পেয়ারুল হক হিমেল, মঞ্জুর মাস্টার, সরদার নজরুল ইসলাম, আজিম গোলজার, আলমগীর হোসেন, সাওগাতুল ইসলাম হিমেল, মোঃ আলমগীর হোসেন, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, আজিম গোলদার, জাতীয় ছাত্র সমাজ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন, তরুন পার্টির সদস্য সচিব মোড়ল জিয়াউর রহমান, সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সহ সভাপতি আবু সাঈদ স্বপন ।

শহীদ নূর হোসেন এর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সেক্রেটারি-০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী এসব তথ্য জানান।

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০