আব্দুস সালাম প্লাবন : আজ সারা বাংলাদেশে ধর্ষণ একটা নিত্য দিনের আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। যে ধর্ষণভীতিতে একজন বাবা তার মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত, ভাই বোনকে নিয়ে চিন্তিত, স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে চিন্তিত, মা মেয়েকে নিয়ে চিন্তিত। যেখানে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রী কে ধর্ষণ, মা কে বেধে মেয়েকে ধর্ষণ সেখানে আমাদের স্বাধীনতা শূন্যর কোঠায়। হাজারো শহীদদের রক্তের বিনীময়ে, হাজারো নারীর সম্ভ্রমের বিনীময়ে, হাজারো মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অঙ্গ, পরিশ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তা কি ধর্ষণ ও হত্যার মাধ্যমে কলঙ্কিত হয়ে যাবে? আজ বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে প্রায় প্রত্যেকদিন ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। এগুলো যদি প্রতিকার না হয় তবে একদিন আমাদের বোন, আমাদের মা, আমাদের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কেও ধর্ষিত হবে। তাই আমাদের স্ব-স্ব জায়গায় থেকে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।
দেশকে ধর্ষনমুক্ত করার জন্য প্রথমে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন পার্কের প্রতি প্রশাসনের কড়া দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ এরকম জায়গায় অনেক অবৈধ কাজ হয়। এরকম কাজ হলেই তাদের শাস্তি নিশ্চিতসহ যে প্রতিষ্ঠান এরকম কাজ করার সুযোগ দিয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়া সহ প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে। বাংলাদেশকে ধর্ষণ মুক্ত করতে হলে প্রথমে বিচার ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। একজন সত্যিকারের ধর্ষককে কখনোই জামিন দেওয়া যাবেনা। ধর্ষক কখনো কোনো রাজনৈতিক সাপোর্ট পাবেনা। ধর্ষন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তারা অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করবে। যদি কোনো তদন্ত কর্মকর্তা কোনো পক্ষ নিয়ে কাজ করে তবে তাকেও আইনের আশ্রয়ে আনতে হবে। কথিত কোনো ধর্ষক যেন মিথ্যাভাবে সাজা না পায় তবে সেদিকে বিশেষ বিচক্ষণ থাকতে হবে। সেই সাথে আসামী ধর্ষক প্রমান হলে তার সাজা অল্প দিনের মধ্যে কার্যকর করত: ধর্ষকের উত্তরাধীকার সম্পত্তি ধর্ষিত ব্যক্তিকে দিতে হবে। এককথায় ধর্ষনের সাজার মাধ্যমে ধর্ষন শব্দটাকে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হবে। তবেই হয়তো ধর্ষন বন্ধ করা সম্ভব হতে পারে।
তাছাড়া আমাদের সর্বপরী দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :